Lata Mangeshkar Crazy for cricket, recalls Vengsarkar ক্রিকেট ভক্ত ছিলেন লতা মঙ্গেশকার, ছিলেন ভালো রাঁধুনীও, স্মরণ ভেঙ্গসরকারের
সাম্যজিৎ ঘোষ, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা: “যখন ‘কপিলস ডেভিলস’ লর্ডসে দু’বারের বিশ্বজয়ী ও প্রবল শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পরাজিত করে ১৯৮৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতেছিল, তখন গ্যালারিতে উচ্ছ্বসিত ভারতীয় সমর্থকদের মধ্যে একজন বিশেষ ভক্ত ছিলেন যার উপস্থিতি দলের সবাইকে অবাক করে দিয়েছিল। তিনি আর কেউ নন লতা মঙ্গেশকার, “লতা দিদি (লতা মঙ্গেশকর) ও আমাদের অভিনন্দন জানাতে এসেছিলেন… এবং আমরা সবাই তাকে পাগল ভক্তদের মধ্যে পেয়ে অবাক হয়েছিলাম,” ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক দিলীপ ভেঙ্গসরকার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন । কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকারের প্রয়াণের পরেই দিলীপ ভেঙ্গসরকার ক্রিকেটের প্রতি লতা মঙ্গেশকরের ভালবাসার কথা তুলে ধরেন।

কপিলস ডেভিলস’ লর্ডসে দু’বারের বিশ্বজয়ী ও প্রবল শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পরাজিত করে ১৯৮৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতেছিল, তখন গ্যালারিতে উচ্ছ্বসিত ভারতীয় সমর্থকদের মধ্যে একজন বিশেষ ভক্ত ছিলেন যার উপস্থিতি দলের সবাইকে অবাক করে দিয়েছিল।
লর্ডসে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ভারতে ফেরার পর দলটির জন্য আরও চমক অপেক্ষা করছিল, বলে চলেন দিলীপ। “আমাদের বিশ্বকাপ জয়ের পর, ক্রিকেট বোর্ড প্রতিটি খেলোয়াড়ের জন্য ২৫,০০০ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। লতা দিদি স্পষ্টতই এতে বিস্মিত হয়েছিলেন কারণ পুরস্কারের অর্থ কম মনে হয়েছিল তাঁর। দেশে ফিরে আসার পর, তিনি আমাদের জন্য দিল্লিতে একটি তহবিল সংগ্রহের সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন এবং দলের প্রতিটি খেলোয়াড়কে ১ লাখ টাকা প্রদান করেছিলেন। সেই সময়ে এই টাকা যথেষ্ট বড় অঙ্ক ছিল এবং বোর্ড আমাদের যা অফার করেছিল তার চেয়েও অনেক বেশি” বলেছেন ভেঙ্গসরকার ।

ভেঙ্গসরকার আরও বলেন, লর্ডস ক্রিকেট মাঠের কাছে লতা দিদির একটি বাড়ি ছিল। “আমি লর্ডসে আমার তৃতীয় সেঞ্চুরি করার পর (১৯৮৬ সালে), তিনি আমাদের চার বা পাঁচজনকে তার বাড়িতে একটি দুর্দান্ত মধ্যাহ্নভোজের জন্য আমন্ত্রণ জানান ।”

তিনি প্রতিদিন ম্যাচ দেখতে মুম্বাই যেতেন। বয়সের কারণে তিনি পরের দিকে মাঠে যেতে পারতেন না । ভেঙ্গসরকার বলেন, লতা দিদির বাড়িতে ফটো গ্যালারিতে অতীতের অনেক ক্রিকেটারের ছবি আছে।
“একবার তিনি কোলাপুরি ধাঁচের মাটন এবং গাজর কা হালুয়া তৈরি করে আমাদের খাইয়েছিলেন”
আরো একটি অবাক করা তথ্য দিলেন ভেঙ্গসরকার। “লতা দিদি একজন দারুণ ভাল রাঁধুনি ছিলেন। একবার তিনি কোলাপুরি ধাঁচের মাটন এবং গাজর কা হালুয়া তৈরি করে আমাদের খাইয়েছিলেন। কি অসাধারণ সুস্বাদু ছিল সেই রান্না।
মুম্বাইয়ে ক্রিকেটারদের সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক ছিল লতা মঙ্গেশকারের। তাঁর চলে যাওয়ায় এক শূন্যতা ক্রিকেট মাঠে। গ্যালারিতে শোরগোলের জায়গায় এখন দীর্ঘশ্বাস।
Published by Samyajit Ghosh